Fair and Exhibition
বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির বিকাশ ও দারিদ্র বিমোচনের হাতিয়ার হিসেবে সত্তরদশক থেকে জাতীয় অর্থনীতিতে হস্তশিল্প বিশেষ অবদান রেখে আসছে । এই শিল্পের সঙ্গে গ্রাম পর্যায়ের লক্ষ লক্ষ কারুশিল্পী জড়িত রয়েছে এবং তাদের জীবিকা এই শিল্পের মাধ্যমে নির্বাহ হচ্ছে । শতভাগ দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরী পণ্য রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জনে হস্তশিল্পের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান । বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হস্ত ও কুটির শিল্পজাত পণ্যের বিরাট এক বাজার রয়েছে; যা আরও অনেক বেশী সম্প্রসারিত করা সম্ভব । কিন্তু দীর্ঘ এক দশক যাবত হস্তশিল্পের কোন ধরনের প্রদর্শনী না থাকাতে আমাদের এই শৈল্পিক শিল্পের বাজার সম্প্রসারণ কিছুটা স্থিমিত হয়ে রয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে আমাদের উদ্যোক্তাগণ অনেক নতুন নতুন পণ্যের দ্বারা হস্তশিল্পকে অনেক বেশী সমৃদ্ধ করেছেন। যেসকল পণ্যের বিষয়ে আমাদের দেশী-বিদেশী ক্রেতা মহল যথাযথভাবে অবহিত নয় !
হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা আমাদের সকল শ্রেনীর ক্রেতাদেরকে আমাদের পণ্যগুলোর বিষয়ে ব্যাপকভাবে পরিচিত করতে এবং সচেতন করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি । হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শনী মূলত এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের একটি মিলন মেলায় পরিণত হবে। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাগণ একে অপরের থেকে শিখার সুযোগ পাবেন এতে উদ্যোক্তাগণ নিত্যনতুন ও অধিকতর মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবেন ।
এছাড়া পণ্য প্রদর্শনী হস্তশিল্প উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে পণ্যের মান বৃদ্ধি, পণ্যে বৈচিত্র্য আনয়ন, মূল্যের ভারসাম্য রক্ষা এবং উৎপাদনকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া নীতি নির্ধারক মহলসহ হস্তশিল্প সম্পূর্কে ব্যাপকভাবে সকল মহলকে সচেতন করবে বলে আমরা আশাবাদী ।
- হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা ।
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারকে সামনে রেখে হস্তশিল্প পণ্যের বহুমুখী উৎপাদন ও বাজারজাতকরনের সম্ভাবনা তুলে ধরা ।
- দেশী বিদেশী ক্রেতাদের সাথে উৎপাদক ও উদ্যোক্তাদের মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করা ।
- আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা এবং পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক মান সম্পন্নতা সম্পর্কে ধারণা দেয়া ।
- প্রতিভাবান, উদ্ভাবনশীল হস্তশিল্প উদ্যোক্তা ও শিল্পী-কারীগরদের স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করা ।
- বিশেষভাবে ঢাকায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা । সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগের সাথে সহযোগিতামূলক কাজের সম্ভাবনা সৃষ্টি করা ।
- প্রদর্শনীর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্ভাব্য প্রতিটি জেলার প্রসিদ্ধ, অভিনবত্ব আছে এমন এবং ব্যতিক্রমধর্মী পণ্যের প্রদর্শন করা।
- প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রতিটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠির পণ্য উপস্থাপন ।
- পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল ও সরঞ্জামাদি (নির্বাচিত) প্রদর্শন ।
- বাছাইকরা পণ্যের পেছনের গল্প তুলে ধরা ।
- প্রতিনিধিত্বমূলক উৎপাদক এবং উদ্যোক্তার অংশগ্রহন ।
- হস্তশিল্পের সাথে লোকসংস্কৃতি/লোকসংগীতের সমন্বিত উপস্থাপন ।
- দেশী-বিদেশী ক্রেতা এবং ঢাকাস্থ আগ্রহী বিদেশী দূতাবাসগুলোর অংশগ্রহন ।
- সেমিনার/সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে কারুশিল্পের সম্ভাবনা ও করনীয় নির্ধারণ ।
- শিল্পকলা ও চারুকলা একাডেমী সহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা ।
- উপস্থাপন ও প্রচার (প্রস্তাবিত)
- নির্বাচিত পণ্যের শৈল্পিক উপস্থাপন
- প্রাকৃতিক উপাদানে নান্দনিক সজ্জা-আলোকসজ্জা
- মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সফলতার গল্প, পরিসংখান ও সম্ভাবনার গল্প উপস্থাপন ।
- নিমন্ত্রনপত্র- প্রাকৃতিক এবং হাতে বানানো। সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রচার, পোষ্টার-ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি ।
- ব্রোশিওর/পুস্তিকা ও দৃষ্টিনন্দন ফোল্ডার তৈরী ।